রেক্টাল ক্যান্সার: লক্ষণ, কারণ এবং আরও অনেক কিছু

রেক্টাল ক্যান্সার হলো এমন একটি ক্যান্সার, যা রেক্টামের কোষে গঠিত হয়। রেক্টামটি সিগময়েড কোলনের নিচে এবং মলদ্বারের (অ্যানাস) উপরে অবস্থান করে।

আপনার রেক্টাম এবং কোলন—দুটিই পরিপাকতন্ত্রের অংশ, তাই রেক্টাল এবং কোলন ক্যান্সারকে একত্রে সাধারণভাবে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার বলা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার হলো তৃতীয় সর্বাধিক সাধারণ ক্যান্সার। এটি মৃত্যুর কারণ হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, যার ফলে প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণ ও চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি

বিশ্বব্যাপী, ২০২০ সালের ওয়ার্ল্ডওয়াইড ক্যান্সার রিসার্চ ফান্ড-এর তথ্য অনুযায়ী, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার নারীদের মধ্যে দ্বিতীয় এবং পুরুষদের মধ্যে তৃতীয় সর্বাধিক সাধারণ ক্যান্সার।

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির একটি প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে রেক্টাল ক্যান্সারের ৪৪,৮৫০টি নতুন কেস শনাক্ত হবে। তুলনায়, কোলন ক্যান্সারের ১,০৬,১৮০টি নতুন কেস শনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

✅ রেক্টাল ক্যান্সারের লক্ষণ কী কী?

প্রথম দিকে, রেক্টাল ক্যান্সারের তেমন কোনো লক্ষণ নাও থাকতে পারে

তবে ক্যান্সার অগ্রসর হলে, সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত। এছাড়া মলত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে, যা কয়েক দিনের বেশি স্থায়ী হয়। এছাড়াও অকারণ দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।

CDC (সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন) অনুযায়ী, কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:

  • মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত

  • মলত্যাগের ঘনত্ব বা অভ্যাসে পরিবর্তন

  • মলত্যাগের পরও পেটে মল জমে থাকার অনুভূতি

  • মলত্যাগের সময় ব্যথা অনুভব

  • ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য

  • মলের সাথে রক্ত বা মিউকাস (শ্লেষ্মা) দেখা যাওয়া

  • অজানা কারণে ওজন হ্রাস ও ক্ষুধামান্দ্য

  • অকারণ ক্লান্তি

  • ঘন ঘন পেটব্যথা, গ্যাস, ক্র্যাম্পস বা অস্বস্তি

আরেকটি সম্ভাব্য লক্ষণ হলো আয়রন-ঘাটতিজনিত অ্যানিমিয়া (রক্তাল্পতা), যা শরীর থেকে ধীরে ধীরে রক্তক্ষয়ের ফলে হতে পারে।


✅ রেক্টাল ক্যান্সারের কারণ কী?

রেক্টাল ক্যান্সারের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে, ক্যান্সার তখনই হয় যখন কোষগুলো নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বিভাজিত হয়ে ক্যান্সার কোষে পরিণত হয় এবং সুস্থ টিস্যুকে আক্রান্ত করে

এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কারণ সবসময় পরিষ্কার নয়। তবে কিছু জেনেটিক (বংশগত) মিউটেশন এই ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

👉 কিছু সাধারণ বংশগত কারণ:

  1. Hereditary Nonpolyposis Colorectal Cancer (HNPCC)

    • এটি Lynch syndrome নামেও পরিচিত।

    • এটি কোলনসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়।

    • কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে কোলন অপসারণের পরামর্শ দেন।

  2. Familial Adenomatous Polyposis (FAP)

    • এটি একটি বিরল জেনেটিক রোগ, যেখানে কোলন ও রেক্টামের অভ্যন্তরীণ দেয়ালে বহু পলিপ গঠিত হয়।

    • এসব পলিপ শুরুতে অ-ক্যান্সারজাতীয় হলেও, পরবর্তীতে ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে

    • FAP-এ আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষ ৫০ বছরের আগেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হন

    • প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বড় অন্ত্র অপসারণ করার সুপারিশ করা হতে পারে।

      ✅ রেক্টাল ক্যান্সার কীভাবে ছড়ায়?

      অন্যান্য ক্যান্সারের মতোই, রেক্টাল ক্যান্সার তখন ছড়াতে শুরু করে যখন ক্যান্সার কোষগুলো সুস্থ টিস্যুকে আক্রান্ত করে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে

      প্রথম দিকে, রেক্টাল ক্যান্সার শুধুমাত্র রেক্টামের আস্তরণে (লাইনিং) সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে, এটি পুরো রেক্টামকেও আক্রান্ত করতে পারে।

      এরপর ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়তে পারে:

      • কাছাকাছি লিম্ফ নোডে (লসিকা গ্রন্থি)

      • নিকটবর্তী অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে, যেখানে লিভার সবচেয়ে সাধারণভাবে আক্রান্ত হয়

      আরও যেসব স্থানে ক্যান্সার ছড়াতে পারে (মেটাস্টেসিস):

      • পেট (অ্যাবডোমেন)

      • মস্তিষ্ক

      • ফুসফুস

      • ডিম্বাশয় (ovaries)

        ✅ রেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণ কী কী?

        যদিও রেক্টাল ক্যান্সারের নির্দিষ্ট কোনো একক কারণ নেই, তবুও কিছু পরিচিত ঝুঁকির কারণ রয়েছে যা এই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে:

        🔹 বয়স

        সাধারণত ৫০ বছর বয়সের পর রেক্টাল ক্যান্সার ধরা পড়ে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তরুণদের মধ্যেও এর হার বাড়ছে

        🔹 জাতি

        কালো বর্ণের আমেরিকানরা এই ক্যান্সারে অন্য গোষ্ঠীর তুলনায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এর পেছনে স্বাস্থ্যসেবায় বৈষম্য একটি কারণ হতে পারে।

        🔹 পারিবারিক ইতিহাস

        যদি আপনার বা পরিবারের কারো কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ইতিহাস থাকে, তাহলে ঝুঁকি বেড়ে যায়।

        🔹 জেনেটিকস (বংশগত সমস্যা)

        Lynch syndrome বা Familial Adenomatous Polyposis (FAP) — এই দুটি বংশগত রোগ রেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

        🔹 রেডিয়েশন থেরাপি

        পূর্বে পেট বা তলপেটে রেডিয়েশন চিকিৎসা নেওয়া থাকলে ঝুঁকি বাড়তে পারে।

        🔹 অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা:

        • ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার

        • পলিপ

        • Inflammatory Bowel Disease (IBD) — বিশেষ করে যদি এটি ৮ বছর বা তার বেশি সময় ধরে থাকে

        • স্থূলতা (Obesity)

        • নিয়ন্ত্রণহীন টাইপ ২ ডায়াবেটিস

        🔹 জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস:

        • সবজি ও ফাইবার কম খাওয়া

        • লাল মাংস ও প্রক্রিয়াজাত মাংস বেশি খাওয়া

        • ব্যায়ামের অভাব

        • ধূমপান

        • প্রতিদিন ৩ বা তার বেশি অ্যালকোহলিক পানীয় গ্রহণ


        ✅ রেক্টাল ক্যান্সার কীভাবে নির্ণয় করা হয়?

        রেক্টাল ক্যান্সার শনাক্ত করতে নিচের পরীক্ষা ও পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়:

        ১. শারীরিক পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং

        ডাক্তার প্রথমে মেডিকেল হিস্ট্রি নেবেন এবং রেক্টালে গ্লাভস পরা আঙুল ঢুকিয়ে কোনো গাঁঠ বা অস্বাভাবিকতা অনুভব করবেন।

        পরবর্তীতে করা হতে পারে:

        • FIT (Fecal Immunochemical Test)

        • সিগময়েডোস্কোপি
          পজিটিভ ফলাফল এলে কলোনোস্কোপি করানো হয়।

        ২. কলোনোস্কোপি

        এতে একটি পাতলা টিউবের মাথায় লাইট ও ক্যামেরা থাকে, যা দিয়ে রেক্টাম ও কোলন দেখা হয়। পলিপ থাকলে এক্ষেত্রেই সরিয়ে ফেলা যায়।

        টিস্যু স্যাম্পল সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে ক্যান্সার কোষ আছে কি না নির্ধারণ করা হয়। জেনেটিক মিউটেশন থাকলে সেটিও চিহ্নিত করা যায়।

        ৩. রক্ত পরীক্ষা

        CEA (Carcinoembryonic Antigen) নামক একটি প্রোটিনের মাত্রা বেশি হলে ক্যান্সারের ইঙ্গিত দিতে পারে।

        ৪. ইমেজিং টেস্ট

        ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে কি না তা জানার জন্য করা হয়:

        • Endorectal Ultrasound

        • CT বা PET স্ক্যান

        • MRI — ক্যান্সারের স্টেজ নির্ধারণে সহায়ক


        ✅ রেক্টাল ক্যান্সারের স্টেজ কীভাবে নির্ধারিত হয়?

        স্টেজিং দ্বারা বোঝা যায়, ক্যান্সার কতদূর অগ্রসর হয়েছে, যা চিকিৎসা পরিকল্পনা নির্ধারণে সহায়তা করে।

        🔹 স্টেজ ০ (Carcinoma in situ)

        শুধু রেক্টামের ভেতরের স্তরে অস্বাভাবিক কোষ থাকে।

        🔹 স্টেজ ১

        ক্যান্সার কোষগুলো ভেতরের স্তর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু লিম্ফ নোডে পৌঁছায়নি

        🔹 স্টেজ ২

        ক্যান্সার মাংসপেশীর বাইরের স্তর পর্যন্ত ছড়িয়েছে, তবে লিম্ফ নোডে নয়।

        • স্টেজ ২এ: ক্যান্সার রেক্টামের বাইরের স্তর পর্যন্ত

        • স্টেজ ২বি: ক্যান্সার পেটের আস্তরণ (abdominal lining) পর্যন্ত পৌঁছেছে

        🔹 স্টেজ ৩

        ক্যান্সার লিম্ফ নোডে ছড়িয়েছে। এই স্টেজকে ৩এ, ৩বি, ৩সি ভাগে বিভক্ত করা হয় লিম্ফ নোডের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে।

        🔹 স্টেজ ৪

        ক্যান্সার লিভার, ফুসফুসসহ শরীরের দূরবর্তী অংশে ছড়িয়েছে।


        ✅ প্রতিটি স্টেজ অনুযায়ী রেক্টাল ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি

        চিকিৎসা নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হয়:

        • টিউমারের আকার

        • ছড়ানোর পরিমাণ

        • রোগীর বয়স ও শারীরিক অবস্থা

        🔹 স্টেজ ০

        • কলোনোস্কোপির সময় টিস্যু অপসারণ

        • আলাদা অপারেশনে টিস্যু অপসারণ

        • আশেপাশের কিছু অংশসহ টিস্যু কাটা

        🔹 স্টেজ ১

        • লোকাল এক্সিশন বা রিসেকশন

        • কিছু ক্ষেত্রে রেডিয়েশন থেরাপি

        • কিছু ক্ষেত্রে কেমোথেরাপি

        🔹 স্টেজ ২ ও ৩

        • অস্ত্রোপচার

        • রেডিয়েশন থেরাপি

        • কেমোথেরাপি

        🔹 স্টেজ ৪

        • এক বা একাধিক স্থানে অস্ত্রোপচার

        • রেডিয়েশন

        • কেমোথেরাপি

        • টার্গেটেড থেরাপি (যেমন: Monoclonal antibody বা angiogenesis inhibitor)

        • Cryosurgery – ঠান্ডা তরল বা যন্ত্র দিয়ে কোষ ধ্বংস

        • Radiofrequency ablation – রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে কোষ ধ্বংস

        • Stent বসানো – টিউমার রেক্টাম বন্ধ করে দিলে পথ খোলা রাখতে

        • Palliative care – জীবনমান উন্নয়নের জন্য সহায়ক থেরাপি

          ✅ রেক্টাল ক্যান্সারের জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল

          আপনি আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে জানতে পারেন, আপনার জন্য কোনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল উপযুক্ত কি না। বর্তমানে ব্যবহৃত অনেক ক্যান্সার চিকিৎসাই প্রথমে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হিসেবে শুরু হয়েছিল।

          এই ট্রায়ালগুলোতে থাকতে পারে:

          • প্রচলিত চিকিৎসার নতুন সংমিশ্রণ

          • এমন ওষুধ যা FDA দ্বারা অন্যান্য রোগের জন্য অনুমোদিত, কিন্তু এখানে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহৃত

          • একেবারে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি বা ওষুধ

          কিছু ক্ষেত্রে এই ট্রায়ালের খরচ ইনস্যুরেন্স দ্বারা কভার হতে পারে, অথবা স্পনসর প্রতিষ্ঠানও খরচ বহন করতে পারে।

          ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশগ্রহণ:

          • নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির সুযোগ দেয়

          • বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যায়

          • আপনাকে অতিরিক্ত চিকিৎসা বিকল্প দিতে পারে

          আপনি National Cancer Institute (NCI) থেকে রেক্টাল ক্যান্সারের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পর্কে আরও জানতে পারেন।


          ✅ রেক্টাল ক্যান্সারের জটিলতা কী কী?

          রেক্টাল ক্যান্সার সময়ের সঙ্গে রেক্টামের বাইরের টিস্যু, লিম্ফ নোড এবং অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে যেতে পারে।

          এছাড়া, প্রাথমিক ক্যান্সারের চিকিৎসার পর আপনি দ্বিতীয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতেও থাকতে পারেন।

          রেক্টাল ক্যান্সার পরবর্তী সময়ে নিচের অঙ্গগুলোতে দ্বিতীয় ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে:

          • মলদ্বার (Anus)

          • কোলন (Colon)

          • কিডনি (Kidneys)

          • ফুসফুস (Lungs)

          • ক্ষুদ্রান্ত্র (Small intestine)

          • যোনি (Vagina)

            ✅ কীভাবে রেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়?

            রেক্টাল ক্যান্সার (বা কোলোরেক্টাল ক্যান্সার) যদি প্রাথমিক স্তরে, ছড়ানোর আগেই শনাক্ত করা যায়, তাহলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়।

            CDC এবং American Cancer Society অনুযায়ী, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো:

            • ৪৫ বছর বয়স থেকে নিয়মিত স্ক্রিনিং শুরু করা

            • যদি আপনার পারিবারিক ইতিহাস, জেনেটিক ঝুঁকি, বা অন্যান্য উচ্চ ঝুঁকি থাকে, তবে আপনার চিকিৎসক আরও আগে স্ক্রিনিং শুরু করতে বলতে পারেন

            রুটিন কলোনোস্কোপি বা স্টুল টেস্ট-এর মাধ্যমে ক্যান্সার আগেই শনাক্ত করা সম্ভব।
            বিশেষ করে, সংবেদনশীল স্টুল টেস্ট-এর মাধ্যমে ক্যান্সারের উপস্থিতি ধরা পড়তে পারে। যদি অস্বাভাবিক কোষ পাওয়া যায়, তবে সময়মতো কলোনোস্কোপি করা উচিত।

            এছাড়াও, কিছু জীবনধারাগত পরিবর্তনের মাধ্যমে রেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব, যেমন:

            • শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা

            • ধূমপান বন্ধ করা

            • লাল মাংস ও প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়ার পরিমাণ কমানো


            ✅ রেক্টাল ক্যান্সারের ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস (Outlook)

            গত কয়েক দশকে চিকিৎসায় অগ্রগতির ফলে রেক্টাল ক্যান্সারে আক্রান্ত অনেক রোগী সফলভাবে চিকিৎসা পাচ্ছেন এবং সুস্থ হয়ে উঠছেন।

            ৫ বছর বেঁচে থাকার অনুপাত (5-Year Survival Rate) হলো একটি পরিমাপক, যা দেখে বোঝা যায়, নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ৫ বছর পর কত শতাংশ মানুষ জীবিত থাকে।

            সকল ধাপ মিলিয়ে রেক্টাল ক্যান্সারের ৫ বছরের সারভাইভাল রেট হলো ৬৭%

            ধাপ অনুযায়ী ৫ বছরের বেঁচে থাকার অনুপাত:

            • লোকালাইজড (Localized): ৮৯%

            • রিজিওনাল (Regional): ৭২%

            • দূরবর্তী ছড়ানো (Distant/Metastatic): ১৬%

            📌 এই তথ্যগুলো ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সংগৃহীত। বর্তমানে চিকিৎসা উন্নত হওয়ায় বাস্তব পরিস্থিতি আরও ভালো হতে পারে।

            আপনার ব্যক্তিগত পূর্বাভাস নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর:

            • ক্যান্সার শরীরের কোথায় ছড়িয়েছে

            • আপনার অন্ত্রে কোনো ব্লকেজ আছে কিনা

            • টিউমার পুরোপুরি অপসারণযোগ্য কি না

            • আপনার বয়স ও স্বাস্থ্য

            • এটি নতুন ক্যান্সার, না পুরোনো ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তি

            • আপনি চিকিৎসা কতটা সহ্য করতে পারেন

            👉 আপনার নির্দিষ্ট পরিস্থিতি অনুযায়ী সেরা তথ্য দিতে পারবেন আপনার চিকিৎসকই।


            ✅ সারকথা (Takeaway)

            রেক্টাল ক্যান্সার, যা প্রায়ই কোলোরেক্টাল ক্যান্সার নামে পরিচিত, যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বেই একটি সাধারণ ক্যান্সার।

            • প্রাথমিক ধাপে কোনো লক্ষণ নাও থাকতে পারে

            • তাই নিয়মিত স্ক্রিনিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ

            • চিকিৎসা ও স্ক্রিনিং পদ্ধতি ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে

            • পাশাপাশি, জীবনধারাগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ঝুঁকি কমানো সম্ভব

            যদি আপনার কোলোন বা মলত্যাগের বিষয়ে অস্বাভাবিক কোনো উপসর্গ দেখা দেয় বা রেক্টাল ক্যান্সার নিয়ে উদ্বেগ থাকে, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *