মূত্রাশয়ের ক্যান্সার: যা কিছু জানা দরকার

মূত্রাশয়ের ক্যান্সার মূত্রাশয়ের টিস্যুতে শুরু হয়। এটি প্রস্রাবের সমস্যাসহ পেছনের ব্যথা এবং ক্লান্তির মতো উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করে ক্যান্সারের স্তর (স্টেজ) ও ধরনের ওপর।

যখন অস্বাভাবিক মূত্রাশয় কোষ গুলো অস্বাভাবিকভাবে বিভাজিত হয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে শুরু করে, তখন মূত্রাশয়ের ক্যান্সার হয়। এই কোষগুলো একটি টিউমার (অবাঞ্ছিত গাঠ) তৈরি করতে পারে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের পেশি ও অঙ্গগুলোতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

অন্য ধরনের ক্যান্সার মূত্রাশয়ে ছড়িয়ে পড়লেও, ক্যান্সার সাধারণত যেখান থেকে শুরু হয় সেই স্থান অনুযায়ী নামকরণ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর প্রায় ৬০,০০০ পুরুষ এবং ১৮,০০০ নারী এই রোগে আক্রান্ত হন বলে চিকিৎসকেরা নির্ণয় করে থাকেন। বিশ্বব্যাপী এটি সপ্তম সর্বাধিক সাধারণ ক্যান্সারের মধ্যে একটি।

মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের উপসর্গ, ঝুঁকির কারণ, চিকিৎসার পদ্ধতি এবং বেঁচে থাকার সম্ভাব্য হার সম্পর্কে জানতে পড়তে থাকুন।

মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের উপসর্গ কী কী?

মূত্রাশয়ের ক্যান্সার বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। এগুলোর মধ্যে থাকতে পারে:

  • প্রস্রাবে রক্ত থাকা, যা দেখতে মরিচা রঙের, উজ্জ্বল লাল, অথবা কখনো দৃশ্যমান নাও হতে পারে

  • প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বা ব্যথা অনুভব হওয়া

  • স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বার প্রস্রাবের প্রয়োজন হওয়া

  • হঠাৎ করে এবং তীব্রভাবে প্রস্রাবের চাপ অনুভব হওয়া

  • মূত্র নিয়ন্ত্রণ হারানো (ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স)

যদি ক্যান্সার মূত্রাশয়ের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে এটি শরীরের অন্যান্য অংশেও উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। যেমন:

  • পেটের ব্যথা

  • শরীরের এক পাশের নিচের দিকে পিঠে ব্যথা

  • ক্লান্তি

  • অজান্তে ওজন হ্রাস

  • ক্ষুধামান্দ্য (খাবারে অরুচি)

  • হাড়ে ব্যথা বা স্পর্শে সংবেদনশীলতা

  • পায়ে ফোলা


মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের কারণ কী?

ক্যান্সার তখনই হয় যখন কোষের জিনগত পরিবর্তনের (মিউটেশন) ফলে অস্বাভাবিক কোষগুলো দ্রুত এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে শুরু করে। এরপর এগুলো আশেপাশের টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে।

যদিও কিছু নির্দিষ্ট কারণ এই ধরনের ডিএনএ ক্ষতির ঝুঁকি বাড়াতে পারে, অনেক সময় এই মিউটেশনগুলো এলোমেলোভাবেও (randomly) ঘটতে পারে। কেউ কেউ কোনো ঝুঁকির উপাদান ছাড়াই মূত্রাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন, আবার কেউ কেউ অনেক ঝুঁকি উপাদান থাকা সত্ত্বেও ক্যান্সারে আক্রান্ত হন না।

মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকিতে কারা আছেন?

কিছু কারণ মূত্রাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এসবের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:

  • ধূমপান করা

  • ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে এমন রাসায়নিকের (কার্সিনোজেন) সংস্পর্শে আসা, যেমন: পেট্রোলিয়াম, রাবার, ধাতু, রঙজাত পণ্য, রঞ্জক (ডাই), বা ডিজেল ধোঁয়া

  • পরিবারে মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের ইতিহাস থাকা

  • নির্দিষ্ট জেনেটিক পরিবর্তন থাকা

  • শিস্টোসোমিয়াসিস (একটি পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট মূত্রাশয়ের সংক্রমণ)

  • আর্সেনিক বা ক্লোরিন দ্বারা দূষিত পানি পান করা

  • কিছু ভেষজ ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ

  • সাইক্লোফসফামাইড (Cytoxan) বা ইফোসফামাইড (Ifex) নামক কেমোথেরাপি ওষুধ দিয়ে পূর্বে চিকিৎসা নেওয়া

  • পেলভিক অঞ্চলে ক্যান্সারের জন্য আগের রেডিয়েশন থেরাপি গ্রহণ

  • দীর্ঘমেয়াদী মূত্রাশয়ের সংক্রমণ বা দীর্ঘদিন ইউরিনারি ক্যাথেটার ব্যবহার

  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করা

  • মূত্রাশয়ে জন্মগত কোনো ত্রুটি থাকা

সিগারেট খাওয়া ব্যক্তিদের মূত্রাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ধূমপান না করা ব্যক্তিদের তুলনায় অন্তত তিনগুণ বেশি হতে পারে।

মূত্রাশয়ের ক্যান্সার কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে বেশি দেখা যায়। আপনার এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি হতে পারে যদি আপনি:

  • জন্মগতভাবে পুরুষ হন

  • বয়স ৫৫ বা তার বেশি হয়

  • শ্বেতাঙ্গ হন

  • মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের প্রকারভেদ

    চিকিৎসকেরা কোন কোষগুলো অস্বাভাবিক হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে মূত্রাশয়ের ক্যান্সারকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেন। এর মধ্যে রয়েছে:

    ট্রানজিশনাল সেল কারসিনোমা (Transitional Cell Carcinoma)

    এটি মূত্রাশয়ের সবচেয়ে সাধারণ ধরনের ক্যান্সার। এটি মূত্রাশয়ের অভ্যন্তরীণ স্তরের ট্রানজিশনাল কোষে শুরু হয়। এই কোষগুলো টিস্যু প্রসারিত হলে আকার পরিবর্তন করতে পারে, কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।

    স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা (Squamous Cell Carcinoma)

    এই ক্যান্সার মূত্রাশয়ে দীর্ঘমেয়াদী সংক্রমণ বা জ্বালার ফলে গঠিত পাতলা, চ্যাপ্টা স্কোয়ামাস কোষ থেকে শুরু হয়।

    অ্যাডিনোকারসিনোমা (Adenocarcinoma)

    এই ক্যান্সার মূত্রাশয়ে দীর্ঘদিনের জ্বালা বা প্রদাহের কারণে গঠিত গ্রন্থিগত (glandular) কোষ থেকে শুরু হয়। এই কোষগুলো শরীরের মিউকাস (শ্লেষ্মা) উৎপাদনকারী গ্রন্থি গঠনে সহায়তা করে।

    স্মল সেল কারসিনোমা (Small Cell Carcinoma)

    এই ক্যান্সার নিউরোএন্ডোক্রাইন কোষ থেকে শুরু হয়। এই কোষগুলো স্নায়ুতন্ত্রের সংকেতের ভিত্তিতে রক্তপ্রবাহে হরমোন নিঃসরণ করে।


    মূত্রাশয়ের ক্যান্সার কীভাবে নির্ণয় করা হয়?

    যদি আপনার উপসর্গ থাকে বা প্রস্রাব পরীক্ষায় ক্যান্সারের সম্ভাবনা দেখা যায়, তাহলে চিকিৎসক আপনার চিকিৎসা ইতিহাস নেবেন এবং শারীরিক পরীক্ষা করবেন। এতে যোনি বা মলদ্বারে আঙ্গুল দিয়ে গাঁট (lump) খোঁজাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এরপর ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য কিছু পরীক্ষা করা হতে পারে, যেমন:

    • সিস্টোস্কোপি: সরু ক্যামেরাযুক্ত নল প্রস্রাবনালী দিয়ে প্রবেশ করিয়ে মূত্রাশয়ের অভ্যন্তর দেখা

    • বায়োপসি: মূত্রাশয় থেকে টিস্যুর ছোট নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা

    • সিটি স্ক্যান বা ইনট্রাভেনাস পাইলোগ্রাম (IVP): মূত্রাশয়ের ছবি তুলতে ব্যবহৃত

    • ইউরিন টিউমার মার্কার টেস্ট: কিছু ধরনের মূত্রাশয়ের ক্যান্সার শনাক্ত করতে সাহায্য করে

    ক্যান্সার কোন পর্যায়ে আছে তা নির্ধারণে আরও কিছু পরীক্ষা করা হয়, যেমন:

    • সিটি স্ক্যান

    • এমআরআই স্ক্যান

    • বুকের এক্স-রে

    • হাড়ের স্ক্যান

    চিকিৎসকেরা স্টেজিং সিস্টেম ব্যবহার করেন ক্যান্সার কত দূর ছড়িয়েছে তা বোঝাতে। এর বিভিন্ন স্তর হলো:

    • স্টেজ ০: ক্যান্সার কেবল মূত্রাশয়ের ভেতরের আবরণে সীমাবদ্ধ

    • স্টেজ ১: মূত্রাশয়ের আবরণ ছাড়িয়ে গেছে, তবে পেশির স্তরে পৌঁছায়নি

    • স্টেজ ২: ক্যান্সার মূত্রাশয়ের পেশির স্তরে পৌঁছেছে

    • স্টেজ ৩: ক্যান্সার আশপাশের টিস্যুতে ছড়িয়েছে

    • স্টেজ ৪: ক্যান্সার মূত্রাশয় ছাড়িয়ে আশেপাশের অঙ্গগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে

    প্রতিটি স্তরের আরও উপবিভাগ থাকতে পারে ক্যান্সার কতটা ছড়িয়েছে তা নির্ভুলভাবে বোঝাতে।


    মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের চিকিৎসা কীভাবে হয়?

    চিকিৎসক আপনার ক্যান্সারের ধরন, স্তর, উপসর্গ এবং সামগ্রিক শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা নির্ধারণ করবেন।

    স্টেজ ০ ও স্টেজ ১ এর চিকিৎসা:

    • টিউমার অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার

    • কেমোথেরাপি

    • ইমিউনোথেরাপি (যা ইমিউন সিস্টেমকে ক্যান্সার কোষ আক্রমণ করতে সহায়তা করে)

    স্টেজ ২ ও স্টেজ ৩ এর চিকিৎসা:

    • মূত্রাশয়ের আংশিক অপসারণ

    • সম্পূর্ণ মূত্রাশয় সরিয়ে ফেলা (র‍্যাডিক্যাল সিস্টেকটমি) এবং নতুনভাবে প্রস্রাব নির্গমনের ব্যবস্থা তৈরি

    • কেমোথেরাপি

    • রেডিয়েশন থেরাপি

    • ইমিউনোথেরাপি

    এই চিকিৎসাগুলোর উদ্দেশ্য হতে পারে:

    • অস্ত্রোপচারের আগে টিউমার ছোট করা

    • অস্ত্রোপচার সম্ভব না হলে চিকিৎসা

    • অস্ত্রোপচারের পর অবশিষ্ট ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করা

    • ভবিষ্যতে ক্যান্সার আবার হওয়া ঠেকানো

    স্টেজ ৪ এর চিকিৎসা:

    • র‍্যাডিক্যাল সিস্টেকটমি এবং পার্শ্ববর্তী লিম্ফ নোড অপসারণ

    • শরীরে প্রস্রাব বের হওয়ার নতুন পথ তৈরি

    • কেমোথেরাপি

    • রেডিয়েশন থেরাপি

    • ইমিউনোথেরাপি

    • ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ড্রাগস (পরীক্ষামূলক চিকিৎসা)

    আপনার শরীরের সামগ্রিক অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসা হতে পারে ক্যান্সার কোষ ধ্বংসে বা উপসর্গ উপশম এবং আয়ু বাড়ানোর লক্ষ্যে।

    আপনি চাইলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নিয়ে নতুন বা পরীক্ষামূলক চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন।


    অগ্রসর মূত্রাশয়ের ক্যান্সারে কতদিন বাঁচা যায়?

    আপনার ভবিষ্যত নির্ভর করে অনেক বিষয়ের ওপর, যেমন:

    • ক্যান্সারের ধরন ও স্তর

    • আপনার বয়স

    • আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অবস্থা

    • চিকিৎসায় আপনার শরীরের সাড়া

    ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট (NCI) অনুযায়ী ৫ বছর বেঁচে থাকার হার (survival rate) হলো:

    • ৯৭% – যদি ক্যান্সার মূত্রাশয়ের আবরণ ছাড়িয়ে না যায়

    • ৭১% – যদি ক্যান্সার মূত্রাশয়ের বাইরে না যায়

    • ৩৯% – যদি ক্যান্সার কাছাকাছি লিম্ফ নোড বা অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে

    • ৮% – যদি ক্যান্সার শরীরের দূরবর্তী অংশে ছড়িয়ে পড়ে (মেটাস্ট্যাটিক)


    ৫ বছর বেঁচে থাকার হার কী?

    স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই কোনো রোগের সম্ভাব্য পরিণতি (prognosis) বোঝাতে ৫ বছর বেঁচে থাকার হার ব্যবহার করেন। এর অর্থ হলো, রোগ নির্ণয়ের অন্তত ৫ বছর পরও কত শতাংশ রোগী জীবিত রয়েছেন।

  • বেঁচে থাকার হার (survival rate) গড় পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি, এবং এটি কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির জীবনের প্রত্যাশা (life expectancy) সঠিকভাবে প্রতিফলিত নাও করতে পারে। তাছাড়া, চিকিৎসার উন্নতির সাথে সাথে মূত্রাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভবিষ্যৎ আরও ভালো হতে পারে। ৫ বছর বেঁচে থাকার হারের যে সংখ্যাগুলো দেওয়া হয়, সেগুলো অন্তত ৫ বছর আগে যাদের ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসা হয়েছে তাদের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত।
  • প্রতিরোধ

    যেহেতু চিকিৎসকেরা এখনো নিশ্চিতভাবে জানেন না মূত্রাশয়ের ক্যান্সার কেন হয়, তাই সব ক্ষেত্রে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে নিচের কিছু অভ্যাস ও সতর্কতা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে:

    • ধূমপান না করা, অথবা ধূমপান করলে তা বন্ধ করা

    • পরোক্ষ ধূমপান (secondhand smoke) এড়িয়ে চলা

    • ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিকের সংস্পর্শ এড়ানো এবং কাজের সময় যথাযথ সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করা

    • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা


    প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

    আপনার অজান্তেই কতদিন bladder cancer থাকতে পারে?
    মূত্রে রক্ত সাধারণত মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের প্রথম লক্ষণ। তবে এটি অন্য কারণেও হতে পারে এবং প্রাথমিকভাবে ভুল রোগ নির্ণয় হতে পারে যতক্ষণ না স্পষ্ট ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা যায়। এছাড়া, প্রস্রাবে রক্ত আসা মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যা সঠিক কারণ খুঁজে পেতে দেরি করে। এসব কারণে অনেক সময় নির্ণয়ে এক বছর বা তার বেশি সময় লেগে যেতে পারে।

    মূত্রাশয়ের ক্যান্সার কত দ্রুত ছড়ায়?
    এটি নির্ভর করে ক্যান্সারের ধরনের ওপর। স্মল সেল কারসিনোমা, অ্যাডিনোকারসিনোমা এবং স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

    মূত্রাশয়ের ক্যান্সার কি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য?
    প্রাথমিক পর্যায়ে মূত্রাশয়ের ক্যান্সার সাধারণত চিকিৎসাযোগ্য এবং কখনো কখনো সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্যও হতে পারে। তবে এটি নির্ভর করে ক্যান্সারের ধরন ও চিকিৎসার সাড়ার ওপর। বিভিন্ন ধরনের মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনাও ভিন্ন হয়।

    নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের উপসর্গে পার্থক্য আছে কি?
    জৈবিক লিঙ্গ নির্বিশেষে মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের উপসর্গগুলো প্রায় একই রকম, যেমন— প্রস্রাবে রক্ত, ঘন ঘন প্রস্রাব, এবং প্রস্রাবের সময় ব্যথা। তবে জন্মসূত্রে পুরুষদের (MAAB) মধ্যে এই ক্যান্সার জন্মসূত্রে নারীদের (FAAB) তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি দেখা যায়।

    মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের শেষ পর্যায়ে কী ঘটে?
    উন্নত বা শেষ পর্যায়ে পৌঁছালে সাধারণ উপসর্গগুলোর পাশাপাশি আরও কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমন— ওজন হ্রাস, হাড়ে ব্যথা, পা ফুলে যাওয়া, শরীরের এক পাশে কোমরের নিচে ব্যথা, ক্ষুধামান্দ্য ইত্যাদি।

  • মূল কথা (Takeaway in Bangla)

    মূত্রাশয়ের ক্যান্সার মূত্রাশয়ের টিস্যুতে শুরু হয়। এটি প্রস্রাবের বিভিন্ন উপসর্গ যেমন — বারবার প্রস্রাবের চাপ, হঠাৎ প্রস্রাবের তাগিদ — এবং শরীরজুড়ে প্রভাব ফেলে এমন উপসর্গ, যেমন — অতিরিক্ত ক্লান্তি, তৈরি করতে পারে।

    চিকিৎসা এবং রোগীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করে ক্যান্সারের স্তর, বয়স এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের মতো বিভিন্ন বিষয়ের ওপর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *