আপনার অ্যাপেন্ডিক্স একটি সরু নলাকৃতি থলের মতো অঙ্গ, যা বৃহৎ অন্ত্রের শুরুর অংশের কাছে কোলনের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। অ্যাপেন্ডিক্সের উদ্দেশ্য এখনো পুরোপুরি পরিষ্কার নয়, তবে কিছু বিজ্ঞানী মনে করেন এটি ইমিউন সিস্টেমের (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) অংশ হতে পারে।
অ্যাপেন্ডিক্স ক্যান্সারকে মাঝে মাঝে অ্যাপেনডিসিয়াল ক্যান্সার (Appendiceal Cancer) বলা হয়। এটি তখন ঘটে যখন সুস্থ কোষ অস্বাভাবিক হয়ে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এই ক্যান্সারযুক্ত কোষগুলো অ্যাপেন্ডিক্সের ভেতরে একটি পিণ্ড বা টিউমারে রূপ নেয়, যা প্রায়শই অপারেশনের মাধ্যমে অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ করার সময় দুর্ঘটনাবশত ধরা পড়ে।
অ্যাপেন্ডিক্স ক্যান্সারকে একটি দুর্লভ রোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর প্রায় প্রতি এক মিলিয়নে এক বা দুই জন এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের তথ্যানুযায়ী।
এই প্রবন্ধে আমরা অ্যাপেন্ডিক্স ক্যান্সারের বিভিন্ন ধরণ ও শ্রেণিবিন্যাস, পাশাপাশি এর লক্ষণ, ঝুঁকিপূর্ণ কারণ এবং চিকিৎসার পদ্ধতি আলোচনা করব।
অ্যাপেন্ডিক্স ক্যান্সারের ধরণগুলো কী কী?
অ্যাপেন্ডিক্স ক্যান্সারের বিভিন্ন শ্রেণিবিন্যাস রয়েছে, তবে সেগুলি খুব পরিষ্কারভাবে নির্ধারিত নয়। এর কারণ হলো এই ক্যান্সারটি অত্যন্ত বিরল, যার ফলে গবেষণাও সীমিত।
অ্যাপেন্ডিক্স ক্যান্সারের শ্রেণিবিন্যাসগুলো হলো:
১. নিউরোএন্ডোক্রাইন কার্সিনোমা
এই ধরণের টিউমারটিকে মাঝে মাঝে টিপিক্যাল কারসিনয়েড নামেও ডাকা হয়। এটি অন্ত্রের প্রাচীরের নির্দিষ্ট কিছু কোষ থেকে তৈরি হয়।
এটি প্রায় অর্ধেক অ্যাপেন্ডিক্স ক্যান্সারের জন্য দায়ী। এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে (মেটাস্টেসাইজ), তবে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সফলভাবে চিকিৎসা করা যায়।
২. মিউসিনাস অ্যাডেনোকার্সিনোমা
মিউসিনাস অ্যাডেনোকার্সিনোমা (Mucinous Adenocarcinoma of the Appendix), সংক্ষেপে MAA, পুরুষ ও নারী উভয়ের মধ্যেই সমানভাবে ঘটে। এটি সাধারণত ৬০ বছর বয়সে ধরা পড়ে। এর কোনো নির্দিষ্ট ঝুঁকির কারণ এখনো জানা যায়নি। এই ক্যান্সারের কোষগুলো মিউসিন নামে একটি জেলির মতো পদার্থ তৈরি করে, যা দেহের অন্যান্য অংশে ক্যান্সার ছড়াতে পারে।
MAA সাধারণত তখনই ধরা পড়ে, যখন টিউমার ফেটে যায় এবং মিউসিন মুক্ত হয়।
৩. কোলনিক-টাইপ অ্যাডেনোকার্সিনোমা
এই ধরণের ক্যান্সার প্রায় ১০ শতাংশ অ্যাপেন্ডিক্স ক্যান্সারের জন্য দায়ী এবং এটি কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের মতো আচরণ করে। এটি সাধারণত ৬২ থেকে ৬৫ বছর বয়সীদের মধ্যে দেখা যায় এবং পুরুষদের মধ্যে নারীদের তুলনায় বেশি ঘটে।
এই ধরনের ক্যান্সার সাধারণত অ্যাপেন্ডিক্সের বেস বা ভিত্তি থেকে শুরু হয়।
৪. গবলেট সেল অ্যাডেনোকার্সিনোমা
গবলেট সেল কারসিনয়েড (Goblet Cell Carcinoma), যাকে GCC ও বলা হয়, এটি নিউরোএন্ডোক্রাইন কোষ এবং গবলেট নামক একধরনের ইপিথেলিয়াল কোষ থেকে তৈরি হয়। এই কোষগুলোও মিউসিন তৈরি করে।
GCC সাধারণত ৫০ থেকে ৫৫ বছর বয়সীদের মধ্যে শুরু হয়। এটি সাধারণত অ্যাপেন্ডিসাইটিস বা পেটের ব্যথা ও পিণ্ডের সৃষ্টি করে।
৫. সিগনেট রিং সেল অ্যাডেনোকার্সিনোমা
সিগনেট রিং সেল অ্যাডেনোকার্সিনোমা হলো কোলনিক-টাইপ বা মিউসিনাস অ্যাডেনোকার্সিনোমার একটি উপ-ধরন।
এটি সবচেয়ে আক্রমণাত্মক (aggressive) ধরনের ক্যান্সার এবং অন্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, তবে এটি খুবই বিরল। এই ক্যান্সার সাধারণত কোলন বা পাকস্থলীতে দেখা গেলেও, এটি অ্যাপেন্ডিক্সেও তৈরি হতে পারে।
অ্যাপেন্ডিক্স ক্যান্সারের লক্ষণ কী কী?
অ্যাপেন্ডিক্স ক্যান্সারে আক্রান্ত অর্ধেকেরও বেশি মানুষ কোনো লক্ষণ অনুভব করেন না। এটি সাধারণত অন্য কোনো সমস্যার জন্য সার্জারি বা ইমেজিং টেস্টের সময় (যেমন অ্যাপেন্ডিসাইটিস) ধরা পড়ে।
ডাক্তাররা রুটিন কোলোনোস্কোপির সময়ও এটি আবিষ্কার করতে পারেন। তবে যদি কোনো লক্ষণ দেখা যায়, সেগুলোর মধ্যে থাকতে পারে:
পেট ফোলা বা ফাঁপা অনুভব হওয়া
ডিম্বাশয়ে অস্বাভাবিক পিণ্ড
দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র পেটব্যথা
পেটের নিচের ডান পাশে অস্পষ্ট অস্বস্তি
মলত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন (যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, বাধা, ডায়রিয়া)
হার্নিয়া
ডায়রিয়া
এই লক্ষণগুলোর অনেকটাই সাধারণত ক্যান্সার অগ্রসর পর্যায়ে পৌঁছালে দেখা যায়। প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কেসে, ক্যান্সার ধরা পড়ার সময় এটি ইতোমধ্যেই শরীরের দূরবর্তী অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
অ্যাপেন্ডিক্স ক্যান্সারের ধাপ (Stage) ও গ্রেড (Grade) কী?
চিকিৎসকেরা প্রায়শই TNM স্টেজিং সিস্টেম ব্যবহার করে অ্যাপেন্ডিক্স ক্যান্সারের পরিমাণ বা বিস্তার নির্ধারণ করেন। TNM এর মানে হলো:
Tumor (T): অ্যাপেন্ডিক্সে ক্যান্সারের পরিমাণ ও অবস্থান
Node (N): ক্যান্সারটি লিম্ফ নোডে ছড়িয়েছে কি না
Metastasis (M): ক্যান্সার শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়েছে কি না
এই তিনটি দিক থেকে ক্যান্সারের অবস্থা মূল্যায়ন করে সামগ্রিক স্টেজ নির্ধারণ করা হয়।
টিউমার (T)
অ্যাপেন্ডিক্সে টিউমারের আকার ও অবস্থান অনুযায়ী T0 থেকে T4b পর্যন্ত স্কোর দেওয়া হয়:
ধাপ (Stage) | বিবরণ (Description) |
---|---|
T0 | কোনো ক্যান্সারের চিহ্ন নেই |
Tis | ক্যান্সার ইন সিচু (শুরু স্তরের কোষ) – ক্যান্সার শুধুমাত্র প্রথম স্তরে |
T1 | ক্যান্সার সাবমিউকোসা (submucosa) নামক স্তরে প্রবেশ করেছে |
T2 | ক্যান্সার মিউসকুলারিস প্রোপ্রিয়া (muscularis propria) স্তরে পৌঁছেছে |
T3 | ক্যান্সার সাবসেরোসা (subserosa) বা মেসোঅ্যাপেন্ডিক্স (mesoappendix) পর্যন্ত ছড়িয়েছে |
T4 | ক্যান্সার পেটের আস্তরণ বা নিকটবর্তী অঙ্গে ছড়িয়েছে |
T4a | ভিসেরাল পেরিটোনিয়ামে টিউমারের উপস্থিতি |
T4b | ক্যান্সার কোলন বা অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়েছে |
লিম্ফ নোড (N)
ক্যান্সার কতটা লিম্ফ নোডে পৌঁছেছে, তার ওপর ভিত্তি করে N0 থেকে N2 স্কোর দেওয়া হয়:
ধাপ (Stage) | বিবরণ (Description) |
---|---|
N0 | পার্শ্ববর্তী লিম্ফ নোডে ক্যান্সার নেই |
N1 | ১ থেকে ৩টি লিম্ফ নোডে ক্যান্সার আছে |
N2 | ৪ বা তার বেশি লিম্ফ নোডে ক্যান্সার ছড়িয়েছে |
মেটাস্টেসিস (M)
ক্যান্সার শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়েছে কি না, তা M0 থেকে M1c স্কোর দিয়ে নির্ধারণ করা হয়:
ধাপ (Stage) | বিবরণ (Description) |
---|---|
M0 | ক্যান্সার শরীরের অন্য কোথাও ছড়ায়নি |
M1 | ক্যান্সার ছড়িয়েছে |
M1a | ইনট্রাপেরিটোনিয়াল এসেলুলার মিউসিন-এ ছড়িয়েছে |
M1b | পেরিটোনিয়ামের ভেতরে আরও বিস্তৃতভাবে ছড়িয়েছে |
M1c | পেরিটোনিয়ামের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে |
গ্রেড (Grade)
ক্যান্সার কোষগুলো মাইক্রোস্কোপের নিচে সুস্থ কোষ থেকে কতটা ভিন্ন দেখাচ্ছে, তার উপর ভিত্তি করে G1 থেকে G4 পর্যন্ত গ্রেড নির্ধারণ করা হয়। উচ্চ গ্রেড মানে ক্যান্সার দ্রুত ছড়াতে পারে।
গ্রেড (Grade) | বিবরণ (Description) |
---|---|
G1 | টিউমার কোষগুলো দেখতে অনেকটা সুস্থ কোষের মতো |
G2 | টিউমার কোষগুলো কিছুটা ভিন্ন |
G3 | টিউমার কোষগুলো সুস্থ কোষ থেকে অনেকটাই ভিন্ন |
G4 | কোষগুলো একেবারেই আলাদা এবং আক্রমণাত্মক |
TNM স্টেজিং অনুসারে সামগ্রিক স্টেজ (Overall Stage)
TNM স্কোর ও গ্রেড একত্রে বিশ্লেষণ করে ক্যান্সারের সামগ্রিক স্টেজ নির্ধারণ করা হয়। উচ্চতর স্টেজ মানে ক্যান্সার আরও বেশি অগ্রসর এবং পূর্বাভাস (prognosis) কম ভালো।
স্টেজ | বিবরণ |
---|---|
Stage 0 | Tis + N0 + M0 |
Stage 1 | T1 বা T2 + N0 + M0 |
Stage 2A | T3 + N0 + M0 |
Stage 2B | T4a + N0 + M0 |
Stage 2C | T4b + N0 + M0 |
Stage 3A | T1 বা T2 + N1 + M0 |
Stage 3B | T3 বা T4 + N1 + M0 |
Stage 3C | যেকোনো T + N2 + M0 |
Stage 4A | যেকোনো T + N0 + M1a বা যেকোনো T + যেকোনো N + M1b + G1 |
Stage 4B | যেকোনো T + যেকোনো N + M1b + G2 অথবা G3 |
Stage 4C | যেকোনো T + যেকোনো N + M1c + যেকোনো G |
অ্যাপেন্ডিক্স ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণ (Risk Factors)
অ্যাপেন্ডিক্স ক্যান্সারের নির্দিষ্ট কোনো কারণ এখনো জানা যায়নি, এবং কোনো পরিহারযোগ্য ঝুঁকির কারণ সনাক্ত করা যায়নি। তবে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে এবং এটি শিশুদের মধ্যে অত্যন্ত বিরল।
নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমার নারীদের মধ্যে পুরুষদের তুলনায় বেশি দেখা যায়।
গবেষণার পরিমাণ সীমিত হলেও, কিছু সম্ভাব্য ঝুঁকির কারণ বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, যেমন:
পারনিসিয়াস অ্যানিমিয়া (Vitamin B12-এর ঘাটতির কারণে)
অ্যাট্রোফিক গ্যাস্ট্রাইটিস (পেটে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ)
জলিংগার-এলিসন সিনড্রোম (পরিপাকতন্ত্রের একটি বিরল অবস্থা)
MEN1 পারিবারিক ইতিহাস (Multiple Endocrine Neoplasia Type 1 – হরমোন উৎপাদনকারী গ্রন্থিতে টিউমার)
ধূমপান
অ্যাপেন্ডিক্স ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি (Treatment Options)
চিকিৎসা নির্ভর করে নিচের বিষয়ের ওপর:
টিউমারের ধরন
ক্যান্সারের স্টেজ
রোগীর সামগ্রিক শারীরিক অবস্থা
চিকিৎসা সাধারণত একাধিক বিশেষজ্ঞ নিয়ে গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিম পরিচালনা করে। এই টিমে থাকতে পারেন: চিকিৎসক, নার্স, ডায়েটিশিয়ান, কাউন্সেলর, সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট এবং মেডিকেল অনকোলজিস্ট।
সার্জারি (Surgery)
সার্জারি হলো স্থানীয়ভাবে সীমাবদ্ধ অ্যাপেন্ডিক্স ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ চিকিৎসা।
যদি ক্যান্সার কেবলমাত্র অ্যাপেন্ডিক্সে সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ (Appendectomy) করা হয়।
যদি টিউমার বড় হয় বা কিছু নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সার হয়, তাহলে ডাক্তার অর্ধেক কোলন ও কিছু লিম্ফ নোড অপসারণের (Hemicolectomy) পরামর্শ দিতে পারেন।
যদি ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে সাইটোরিডাকটিভ সার্জারি (Cytoreductive surgery) বা ডিবালকিং (Debulking) করা হতে পারে। এতে টিউমার, চারপাশের তরল, এমনকি সংলগ্ন অঙ্গও অপসারণ করা হয়।
কেমোথেরাপি (Chemotherapy)
নিম্নোক্ত অবস্থায় কেমোথেরাপি প্রয়োগ করা হতে পারে (সার্জারির আগে বা পরে):
টিউমারের আকার ২ সেন্টিমিটারের বেশি
ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে, বিশেষ করে লিম্ফ নোডে
ক্যান্সার আক্রমণাত্মক প্রকৃতির
কেমোথেরাপির ধরন:
সিস্টেমিক কেমোথেরাপি: সারা শরীর জুড়ে প্রয়োগ (IV বা মুখে খাওয়ার ওষুধ)
রিজিওনাল কেমোথেরাপি: পেটের মধ্যে সরাসরি প্রয়োগ, যেমন
EPIC (Early Postoperative Intraperitoneal Chemotherapy)
HIPEC (Hyperthermic Intraperitoneal Chemotherapy)
সিস্টেমিক ও রিজিওনাল কেমোথেরাপির সমন্বয়
রেডিয়েশন থেরাপি (Radiation Therapy)
রেডিয়েশন থেরাপি খুব কমই ব্যবহার করা হয়। তবে ক্যান্সার যদি শরীরের অন্য অংশে ছড়ায়, তখন এটি ব্যবহার হতে পারে।
ইমেজিং টেস্ট (Imaging Tests)
সার্জারির পর ডাক্তার CT স্ক্যান বা MRI এর মাধ্যমে নিশ্চিত হন যে টিউমার পুরোপুরি সরানো হয়েছে কি না।
পুনরাবৃত্তি ও বেঁচে থাকার হার (Recurrence and Survival Rate)
অ্যাপেন্ডিক্স ক্যান্সার অত্যন্ত বিরল হওয়ায়, এর পুনরাবৃত্তি (recurrence) বা বেঁচে থাকার হার (survival rate) সম্পর্কে তথ্য সীমিত।
American Society of Clinical Oncology অনুসারে:
Grade 1 এবং Grade 2 নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমার এর ৫ বছর বেঁচে থাকার হার ৬৭% থেকে ৯৭% এর মধ্যে।
অ্যাডভান্সড অ্যাপেন্ডিক্স ক্যান্সার (যা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়েছে) – এর বেঁচে থাকার হার অনেক কম।
Signet-ring cell tumors এর ৫ বছর বেঁচে থাকার হার সবচেয়ে কম, মাত্র ২৭%।
যেসব রোগীর কোলনের অংশ অপসারণ ও কেমোথেরাপি দেওয়া হয়, তাদের ক্ষেত্রে বেঁচে থাকার হার কিছুটা বাড়ে। তবে, সব ক্ষেত্রে এই অতিরিক্ত চিকিৎসা প্রয়োজন হয় না।
সারসংক্ষেপ (Takeaway)
প্রথম ধাপের (early-stage) অ্যাপেন্ডিক্স ক্যান্সারের ক্ষেত্রে বেঁচে থাকার হার সাধারণত ভালো।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি অন্য কারণে করা অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণের সময় দুর্ঘটনাবশত ধরা পড়ে।
ক্যান্সার নির্ণয়ের পর নিয়মিত চেকআপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যেন তা আবার ফিরে না আসে।
Comments
Great Info! Every once in a while I find something interesting