বাংলাদেশ পৃথিবীর সকল দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয় । বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৯৫ জন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে । কিন্তু এই মোবাইল ব্যবহারের পদ্ধতি না জানার কারনে অনেকের মোবাইল অতিদ্রুত নষ্ট হয়ে যায় । অতি হারে মোবাইল নষ্ট হওয়ার কারনে এই দেশে অসংখ্য মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার গড়ে উঠেছে । আবার অনেক গুলো মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে দক্ষ জনশক্তির অভাব রয়েছে । আমরা যেমন মান সম্মত মোবাইল সেট ব্যবহার করতে পারি না, আবার ভাল সার্ভিসিং সেন্টার গড়ে ওঠে নাই, আবার অনেক মানুষ মোবাইল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে দক্ষ নয় । এই হচ্ছে আমাদের মোবাইল মার্কেটের অবস্থা, তাই আমাদের সচেতনার মাধ্যমে আমাদেরকে এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে ।
আমাদেরকে নিম্ন মানের সেট ক্রয় না করে ভালো বা উন্নতমানের সেট ক্রয় করতে হবে । সেটটি ব্যবহারের নিয়ম কানুনগুলো মেনে চলতে হবে । আমাদেরকে সার্ভিসিং করানোর ক্ষেত্রে দক্ষ কারিগরের মাধ্যমে সার্ভিসিং করতে হবে ।
মোবাইলের সমস্যা দুধরনের হয়ে থাকে । একটা হচ্ছে হার্ডওয়ার জনিত সমস্যা আরেকটি হচ্ছে সফটওয়্যারজনিত সমস্যা । দেশে দুধরনের টেকনেশিয়ান রয়েছে, আপনাকে বুঝতে হবে আপনার মোবাইলে কোন ধরনের সমস্যা রয়েছে । সেই অনুযায়ী আপনাকে সার্ভিসিং করাতে হবে ।
বাংলাদেশে বর্তমানে মোবাইল সার্ভিসিং উপর ডিপ্লোমা কোর্স রয়েছে । যে কেহু এই কোর্স করে একজন দক্ষ টেকনেশিয়ান হিসাবে নিজকে গড়ে তুলতে পারেন । এই ছাড়া মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে হাতে কলমে শিখে আপনি একজন দক্ষ টেকনেশিয়ান হতে পারেন । প্রতিষ্ঠানগুলো মোবাইলে ব্লুটুথ এবং এর মাধ্যমে রিং টোন আদান প্রদান, এমপিথ্রি, ভিডিও, ইমেজ ডাউনলোড, সফটওয়্যার ইনস্টলেশন, মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার ইনস্টলেশন, মেমোরি কার্ড ডাউনলোড, মোবাইলের আনলক, ডাটাকেবল সমস্যাগুলো, হার্ডওয়্যারের ক্ষেত্রে রেজিস্টার, ক্যাপাসিটার, ডায়েড, ট্রান্সফর্মগুলো, বিভিন্ন ধরনের সার্কিট এবং সেগুলোর কানেকশন ডায়াগ্রাম, সিকিউরিটি কোডসহ বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ন্ত্রণে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
মোবাইল সার্ভিসিং এর প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সমুহ “
১. পাওয়ার সাপ্লাই- এনালগ বা ডিজিটাল
২. মাল্টিমিটার –এনালগ বা ডিজিটাল
৩. হটএয়ারগান- এনালগ বা ডিজিটাল
৪. ব্যাটারী কুইক চার্জার
৫. সার্ভিসিং কম্পিউটার
৬. রিপেয়ারিং আয়রন
৭. সার্ভিসিং স্কু ড্রাইভার সেট
৮. রিপেয়ারিং রাং বা রজন
৯. রিপেয়ারিং সোল্ডারিং পেস্ত
১০. কানেক্টর রিবোন ওয়্যার
১১. সার্কিট ব্রেকার বা হ্যাকার
১২. প্রয়োজনীয় রিপেয়ারিং কম্পোনেন্ট
মোবাইল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিম্নের বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে;
১. নিম্নমানের যন্ত্রপাতি মোবাইলে ব্যবহার করবে না
২. মোবাইলে অতিরিক্ত চার্জ দিবেন না
৩. মোবাইল বাম কানে দিয়ে কথা বলবেন
৪. মোবাইলে সিগনালে হাত রাখবেন না
৫. চার্জের সময় মোবাইল ব্যবহার করবেন না
৬. অপ্রয়োজনীয় আপ্যাস আনইনস্টল করুন
৭. ভাল মানের অ্যান্টিভাইরাস মোবাইলে লোড করুন
মোবইল ব্যবহারের যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত :
১. মানুষের মধ্যে মোবাইলে জোরে কথা বলা উচিত নয়
২. সামাজিক প্রোগাম, জরুরী মিটিং ও নামাজারের সময় মোবাইলের রিংটোন বন্ধ রাখুন ।
৩. অনুমতি ছাড়া অন্যের ফোন রিসিব করা।
৪. অপ্রয়োজনে কাহুকে ফোন করা
৫. অনুমতি ছাড়া কাহারো নম্বর অন্যকে দেওয়া
৬. প্রয়োজন ছাড়া কাহুকে এসএমএস পাঠানো
৭. গাড়ী চালানোর সময় ফোন করা বা রিসিব করা
৮. প্রয়োজন ছাড়া রিং টোন আউয়াজ বড় রাখা
৯. কোন মিটিং থাকলে ফোনের আলাপ সংক্ষিপ্ত করা
১০. ফোনে আস্তে আস্তে কথা বলা, যেন অন্যজন কথা সহজে বুজতে পারে
১১. মোবাইল ফোনের যত্ন নেওয়া, আগুন ও পানি মোবাইল সর্তক রাখা।
Leave a Reply