
এক সময় পশ্চিমা বিশ্বে প্রাণী পোষা হতো কিন্তু বর্তমানে বাংলদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী ও পাখি মানুষ পোষে থাকে । বর্তমানে বাংলাদেশের শহর থেকে শুরু করে গ্রামেও পোষা প্রাণী ও পাখি বিক্রয় হয় । এক সময় মানুষ গরু, ছাগল, হাস, মুরগি ইত্যাদি পালন করলেও বর্তমানে বিভিন্ন ধরনে প্রাণী পালন করে থাকে এগুলো কেহু শখের বশে পালন করলেও বর্তমানে এগুলো মানুষের জন্য ব্যবসায়িক পন্য হিসাবে পরিগনিত হয়েছে । আপনি শখের বশে হোক অথবা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে হোক আপনাকে প্রাণীটি যত্ন নিতে হবে ।
শখের বা ব্যবসায়িক প্রাণীটি এক সময় আপনার সময়ের সঙ্গী হয়ে ওঠে । তাই প্রাণীর রোগ- বালাইয়ের বিষয়টি আপনাকে বুঝতে হবে এবং সেই সঙ্গে নিতে হবে তার পরিপূর্ণ যত্ন ।
প্রাণী পোষার ব্যাপারটা নির্ভর করে বাড়ির অবস্থান ও পরিবেশের ওপর। পরিবেশভেদে যত্নটাও ভিন্ন হবে। প্রাণী ভেদে খাবারের মান ও পরিমাণের দিকেও লক্ষ রাখতে হবে। খাবারের জন্য নির্দিষ্ট বাটি রাখতে হবে। থাকা ও শোয়ার জায়গাটা সব সময় পরিষ্কার রাখা উচিত আর শরীরের লোম যেন যেখানে-সেখানে না থাকে। আসল কথা হলো, প্রাণীটি বাড়িতে আনার পর থেকেই তাকে একটু একটু করে প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। তাহলে বাড়ির পরিবেশের সঙ্গে সহজে মানিয়ে যাবে। তবে দেশি জাতের প্রাণী পোষার ক্ষেত্রে নানা সুবিধা রয়েছে এবং সহজে পরিবেশের সাথে মিলিয়ে নেওয়া যায় ।
যত্নের সাথে প্রিয় প্রাণীর সৌন্দর্য বাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন প্রসাধনীসহ নানা নকশার পোশাক। বাজারে রয়েছে এমন নানা ধরনের উপকরণ। এর মধ্যে রয়েছে লোম যুক্ত প্রাণীর জন্য মেডিকেটেড শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে মাউথ ফ্রেশনার, নানা ব্র্যান্ডের সুগন্ধি। এ ছাড়া বেল্ট, নানা রং-নকশার খাবার বাটিও বাজারে পাওয়া যায় ।
বাসায় প্রাণী পোষার ক্ষেত্রে আমাদেরকে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে :
- প্রাণী কেনার ক্ষেত্রে আপনাকে দেখতে হবে প্রাণীটি সুস্থ কিনা এবং বাসার পরিবেশের জন্য উপযুক্ত কিনা ।
- জাত সম্পর্কে নিশ্চিত হউন, বিশেষ করে কুকুর কেনার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি খু্বই গুরুত্বপূর্ণ ।
- প্রাণীটির জীবন যাপন সম্পর্কে জানুন ।
- কেনার সঙ্গে সঙ্গেই ভেটনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন এবং পরবর্তী টিকা কখন দিতে হবে তা জেনে নিন ।
প্রাণী ও পাখির পরিচর্যা
* পছন্দের প্রাণীর থাকার জায়গায় পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
* সুষম ও পুষ্ঠিকর খাবার দিতে হবে।
* বাজারের কেনা খাবারের চেয়ে বাড়ির তৈরি খাবারে অভ্যস্ত করতে হবে ।
* নিয়মিত গোসল করাতে হবে। সপ্তাহে কতবার গোসল করানো হবে, তা নির্ভর করে তার নোংরা হওয়ার ওপর।
* চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গোসলে শ্যাম্পু বা সাবান ব্যবহার করুন।
* নিয়মিত নখ কেটে দিন।
* লোমের ধরন বুঝে চিরুনি ব্যবহার করুন।
* রোগাক্রান্ত হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
* বয়স, জাত ও ঋতুভিত্তিক টিকা নিন।
* আপনার পোষা প্রাণীর জন্য বছরে কমপক্ষে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
* প্রাণীটিকে ঘুরাফেরা করার জন্য পর্যাপ্ত জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে ।
Leave a Reply