অ্যালার্জিজনিত খাবার: এই ৮টি খাবার আপনার ত্বকে চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে
অনেক সময় আমরা না জেনেই এমন অ্যালার্জিজনিত খাবার খাই, যা শরীরে নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে, বিশেষ করে ত্বকে চুলকানি। সাধারণত, অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ায় দেহে ইমিউন সিস্টেম কিছু নির্দিষ্ট খাবারকে “বিপজ্জনক” হিসেবে চিহ্নিত করে এবং তার ফলে সৃষ্টি হয় চুলকানি, র্যাশ, শ্বাসকষ্ট বা হজমের সমস্যা। আজ আমরা জানব এমন ৮টি অ্যালার্জিজনিত খাবার সম্পর্কে, যা এধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
১. সয়া
সয়া অ্যালার্জি সাধারণত শিশু ও বাচ্চাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে প্রাপ্তবয়স্করাও আক্রান্ত হতে পারেন। সয়াবিন, টোফু, টেম্পেহ, মিসো ইত্যাদি সয়া-ভিত্তিক খাবারে থাকা প্রোটিন ত্বকে চুলকানি ও ফোলাভাব সৃষ্টি করতে পারে।
২. চিনাবাদাম
চিনাবাদাম অ্যালার্জি সবচেয়ে সাধারণ এবং বিপজ্জনক অ্যালার্জির একটি। এটি ত্বকে র্যাশ, চুলকানি, মুখ ফোলা, শ্বাসকষ্ট এমনকি অ্যানাফাইল্যাক্সিস ঘটাতে পারে।
৩. শেলফিশ
চিংড়ি, কাঁকড়া, লবস্টার ও ঝিনুক জাতীয় শেলফিশে থাকা ট্রোপোমায়োসিন নামক প্রোটিন অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। এতে হাইভস, চুলকানি, রক্তচাপ হ্রাস ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
৪. গম
গমে থাকা গ্লুটেন, অ্যালবুমিন, গ্লোবুলিন ইত্যাদি প্রোটিন হজমে সমস্যা, চুলকানি ও শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতা তৈরি করতে পারে। পাউরুটি, পাস্তা, বিস্কুট ইত্যাদি খাবারে গম থাকে।
৫. গরুর দুধ
গরুর দুধে থাকা ওয়ে ও কেসিন প্রোটিন অনেকের শরীরে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। মুখের চারপাশে চুলকানি, ফোলাভাব, পেট ব্যথা, ডায়ারিয়া বা বমি হতে পারে।
৬. ডিম
ডিমের সাদা অংশে থাকা ওভালবুমিন, ওভোমিউসিন প্রোটিন অনেকের শরীরে র্যাশ ও ত্বকের চুলকানি তৈরি করে। কখনও পেটের সমস্যাও হতে পারে।
৭. ট্রি নাটস
আখরোট, কাজু, আমন্ড, পেস্তা জাতীয় ট্রি নাটসে থাকা প্রোটিন অনেকের শরীরে চুলকানি, মুখ ফোলা ও লালচে ত্বক তৈরি করে। একজিমা বা হাঁপানি থাকলে প্রতিক্রিয়া আরও তীব্র হতে পারে।
৮. মাছ
রুই, কাতলা, সালমন, টুনা জাতীয় মাছের প্রোটিনের প্রতি সংবেদনশীল হলে ত্বকে চুলকানি, পেট ব্যথা, সর্দি বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। প্রায় ক্ষেত্রেই সব ধরনের মাছ এড়ানোই শ্রেয়।
উপসংহার
বিভিন্ন অ্যালার্জিজনিত খাবার আমাদের শরীরে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। চুলকানি এর অন্যতম লক্ষণ। তাই আপনি যদি এমন সমস্যা অনুভব করেন, তবে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এছাড়া প্রতিটি খাবার খাওয়ার আগে লেবেল ভালোভাবে পড়া, ও অ্যালার্জিজনিত খাবার চিহ্নিত করে তা পরিহার করাই সবচেয়ে ভালো উপায়।
হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া পদ্ধতি একজিমার চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
বিস্তারিত জানতে পড়ুন Mayo Clinic-এর গাইড